খুররম জামান: [৩] সোমবার দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ভূটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা জানান। তিনি বলেন, আমাদের আরেকটু কাজ করতে হবে। তবে আমরা আশা করছি খুব সহসাই সেটি আমরা সই করতে পারবো।

[৩.১] তিনি বলেন, ভারতের ওপর দিয়েই তো লাইন আসতে হবে। ভারত কিন্তু নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে ফ্যাসিলিটেট করেছে, সুতরাং ভুটান থেকে আমদানির ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে এটাই স্বাভাবিক।

[৪] রাজার সঙ্গে বৈঠকে ভুটানের ট্রাভেল ট্যাক্স বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি স্পেসিফিকভাবে আলোচনা করিনি। এগুলো হচ্ছে ওয়ার্কিং লেভেলের আলোচনা। মূলত বিবিআইএন-এ জয়েন করার বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।

[৫] দুদেশের গৃহীত যৌথ ইশতেহারে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে এয়ার-কানেক্টিভিটি বাড়ানোর বিষয়ে একমত দুপক্ষ।  

[৫.১] ইশতেহারে বলা হয়, ঢাকা-থিম্পু এখন সপ্তাহে মাত্র দু’টি ফ্লাইট আছে, এটি বাড়ানো প্রয়োজন। মানুষ যাতে সড়ক পথে গাড়ি নিয়ে যেতে পারে, সে ব্যবস্থাও করতে হবে। 

[৫.২] যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, ডগেতবছর ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি প্রটোকল স্বাক্ষরিত হওয়ায় উভয় দেশের মধ্যে শুধু ব্যবসাই সহজ হবে না। সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া এর সুবিধা পাবে। 

[৬] স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দানকারী দেশ ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক সোমবার সকালে ৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা পৌঁছেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবগঠিত সরকার দায়িত্বগ্রহণের পর কোনো বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের এটি প্রথম সফর। 

[৬.১] সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বহন করা ফ্লাইটটি অবতরণ করে। বিমানবন্দরে ভুটানের রাজাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। এরপর তাকে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে রাজধানীর ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভুটানের রাজা। 

[৭] মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল বন্ধুরাষ্ট্র ভুটান। সময়ে-অসময়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়ানো দেশটির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব আবারও এলেন বাংলাদেশে। 

[৭.১] রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক বাংলাদেশ সফর এসেছেন মূলত স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে। এর পাশাপাশি উচ্চপর্যায়ের বেশ কয়েকটি বৈঠকেও অংশ নেবেন তিনি।

[৮] ভুটানের রাজা ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি র্অপণ, সকালে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউিট অভ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল পরিদর্শন, বিকেলে রাষ্ট্রপতির সাথে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাত ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

[৯] ২৭ মার্চ পদ্মা সেতু এবং নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন এবং ২৮ মার্চ কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে রাজা বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রাজাকে বিদায় জানাবেন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গার্ড অব অনার প্রদান করবে।

[১০] সর্বশেষ ২০১৩ সালে ঢাকা সফর করেছিলেন রাজা ওয়াংচুক। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব